আন্তর্জাতিক নারী দিবস এর ভূমিকাঃ
যুগে যুগে নারীরা স্বীয় মেধায় ও শ্রমের মাধ্যমে সভ্যতার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সমান হারে ভূমিকা পালন করেছে। তবুও তাদের কাজের মূল্যায়ন বা নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির বদলাতে লেগে গেছে বহু যুগ। তবে, এখন দিন পাল্টেছে। স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে নারীর অবদান। নারীরাও সচেতন হয়েছেন তাদের অধিকার প্রসঙ্গে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যে পালন করা হয় নারী দিবস। জাতি ভেদে কোথাও মূখ্য হয়ে ওঠে নারীর সাধারণ অধিকার বা সম্মান প্রাপ্তি, আবার কোথাও উপজীব্য নারীর আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে নারীরা এখনও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন সবচেয়ে সাধারণ বিষয় গুলো নিয়েই। নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, নারী নিরাপত্তা, আর্থিক মুক্তি যার মধ্যে অন্যতম। এসব অধিকার আদায়ে সচেতন নারীরা আওয়াজ তুলছেন, অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছেন।
প্রতিকূল পরিস্থিতিঃ
প্রতিকূল পরিস্থিতি রয়েছে সমাজে, সংসারে, সর্বত্র। সামাজিক প্রেক্ষাপট তাদেরকে পুরুষের মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকার মানসিকতা তৈরী করলেও সেই বেড়াজাল থেকে তার বেরিয়ে আসছেন। নারী যে নিজেই একক সত্ত্বা সেটি বর্তমান সময়ের নারীরা অনুধাবন করেছেন। তা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে তাদের কথায়, লেখায়, কাজে ও সর্বত্র স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহণে। তবে অনেকেই মনে করেন নারীস্বাধীনতা নামে নারীরা আজকাল স্বেচ্ছাচারিতায় ভুগছে। অন্যদিকে অনেকে সেটিকে দেখছে সমাজে নারীর অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা হিসেবে, নারীর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। একে নেতিবাচক অর্থে যেভাবে দেখা হয়, তার থেকে ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজলে নারীর সমস্যাগুলো অনুধাবন করা যাবে। যা থেকে নারীর চলার দিকনির্দেশনা বের করা সম্ভব। তবে সত্যিকার অর্থে, আসল অনুধাবনের জায়গাটি বেশ সহজ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস পুরুষের বিপক্ষে কোনো প্রতিযোগীতা নয়ঃ
এটি শুধুই সমতার দাবী। নিজেকে প্রমানের সুযোগ প্রদানের দাবী। যেখানে বেগম রোকেয়ার সেই দুই চাকার শকটের উদাহরণটি এখনও প্রযোজ্য। যা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নারী পুরুষের ভারসাম্য বা সমতার কথা বলে।
একে অন্যকে ছাড়িয়ে যেতে নয়। সমস্ত উপলব্ধি ও চেষ্টার প্রতিফলন দেখা সময়ের ওপর নির্ভর করে। আজ থেকে দুই যুগ আগের পরিস্থিতি আর বর্তমান পরিস্থিতির যেমন পরিবর্তন ঘটেছে, আগামী এক বা দুই যুগ পরেও আরো পরিবর্তন ঘটবে। উন্নতির সাথে সাথে নতুন চ্যলেঞ্জ ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই একদিন অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে বাংলাদেশ।
তাই সমাজে নারীদের সমঅধিকার অর্জন ও সচেতনতা তৈরিতে এমন দিবস প্রয়োজন। এই দিনটিই একটি স্লোগান যা নারীদের সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জাগায়। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে শুধু নারীদের নয়, বরং সমগ্র সমাজকেও উজ্জীবিত করে। তাই আসুন এই দিনটিতে শপথ নেই। নারীর সামাজিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাই মিলে অগ্রসর হই। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। নারী দিবস হোক নারীর সমস্ত অর্জন নিয়ে উৎসবের এবং নারীর বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত অন্যায় প্রতিরোধের।

বাবাই কেয়ার আপনাকে স্বাগতম। বাবাই এখন আর শুধু শপিংয়ের জন্য নয়। বাবাই কেয়ার আপনাকে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গর্ভাবস্থার প্রতিটি ধাপে এবং পেরেন্টিংয়ের সহায়তা করবে।